নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হাটহাজারী উপজেলা ৮নং মেখল ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের চারাবটতলের কিছুটা পুর্বে ব্রীজের পরে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথের (সওজ) এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের খালের জায়গা দখল করে দোকানপাট গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সওজের জায়গার ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করার আইন থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
দীর্ঘদিন ধরে সওজের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করা হলেও সওজ বিভাগ অবৈধ দখল উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়নি।
এতে এলাকার প্রভাবশালীরা দিন দিন সওজের জায়গা দখল করে ফেলছে।
চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি মহাসড়কের হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড থেকে ফটিকছড়ি এবং রাউজান পর্যন্ত এলাকায় সওজ বিভাগের বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে অনেক দোকান নির্মাণ করেছেন স্থানীয় ভুমিদূস্যরা।
তবে এই সব ভুমিদূস্যদের অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও হাইব্রিড মৌসুমী নেতা বলে জানা যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে ওই এলাকায় দোকানপাট তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া দিয়ে আসছেন। এতে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। সওজ বিভাগের জায়গায় কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ হলেও এর তোয়াক্কা করছে না প্রভাবশালীরা।
ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিনের পাশাপাশি ওই এলাকায় আরও অনেকেই সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সড়কের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করা হলেও সংশ্নিষ্ট সওজ বিভাগ কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।
হাটহাজারী পৌরসভার মাটিয়া মসজিদ, মীরেরখীল, মীরেরহাট, কড়িয়াপাড়, চারাবটতল, ঈছাপুর বাজার, চারিয়া বোর্ড স্কুল, চারিয়া মাদ্রাসা, মুহুরীহাট, সরকারহাট, মুনিয়াপুকুর পাড়, কাটিরহাট, সৈয়দ কোম্পানি, নুরালি মিয়ারহাট, নাজিরহাট নতুন রাস্তার মাথা, নাজিরহাট পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে এলাকায়ও রয়েছে বহু অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, দখলদার জসিম উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে সড়কের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন। এর সঙ্গে সওজ বিভাগের লোকজন জড়িত আছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
সওজ বিভাগের জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করার বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, আমি আমার জায়গায় দোকান নির্মাণ করেছি কিসের অনুমোদন। কারোই অনুমতি লাগে না। যদি সরকার চাই তখন দেখা যাবে। অনেকেই সড়কের জায়গা দখল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এ কারণে তিনিও সড়কের জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এর ফলে অন্যদের যা হবে তার বেলাতেও সেটাই হবে। এতে ভয়ের কিছু নেই।
হাটহাজারী উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার মোঃ আবু রায়হান বলেন, আমি জায়গায়টার খবর নিচ্ছি।
চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সড়ক বিভাগের লোক পাঠানো হবে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। সড়কের জায়গা দখল করে কাউকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।